বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

ক্রীড়া প্রতিযোগিতা (২০২৫) আর মাত্র বাকি.....

  • 00Days
  • 00Hours
  • 00Minutes
  • 00Seconds

বিভিন্ন বর্ষের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা দেখতে পাশের তালিকা থেকে নির্বাচন করুন।

খেলাধুলার আত্ম-আলোচনা

প্রাচীন কাল থেকেই খেলাধূলা মানুষের শারীরিক গঠন ও মানসিক প্রধান উৎস। দেহ ও মনের পরিপূর্ন বিকাশের মধ্য দিয়ে মানুষের সম্পূর্ন চরিত্র গঠন সম্ভব হয়। মনের বিকাশের জন্য যেমন জ্ঞান অর্জনের প্রয়োজন, তেমনি দৈহিক বিকাশের জন্য খেলাধূলার প্রয়োজন। বস্তুত, খেলাধূলার মধ্যেই মানুষ খুঁজে পায় অফুরন্ত আনন্দের ভান্ডার। জন্ম লগ্ন থেকে শিশুর খেলাধূলার প্রতি এক সহজাত গঠনের সূত্রপাত আকর্ষন থাকে। জন্মের পরমূহুর্তেই হাত পা ছুড়ে একটি শিশু খেলা করে এবং এইভাবে খেলার মধ্য দিয়ে সে ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে বয়স বৃদ্ধির সাথে গৃহের পরিধি পেরিয়ে বৃহত্তর ক্ষেত্রে প্রবেশ করে। এই ভাবে শিশুর মনের সংকীর্নতা দূর হয়।

সুস্থ জীবন লাভের জন্য চাই খেলাধুলা । শরীর ঠিক রাখার জন্য চাই শরীর চর্চা। উন্নত দেশে (জাপানে) কলকারখানা কাজ শুরুর আগে এই ব্যায়াম চর্চা করে থাকে। এর দ্বারা কর্মশক্তির বিকাশ হয়, কাজে মন আসে। সেইজন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে টিফিনের সময় বা অন্য সময় খেলাধুলার ব্যবস্থা রয়েছে। সবাই জানে স্বাস্থ্যই সম্পদ। স্বাস্থ্যবান দেহ সুখ – সম্পদের অধিকারী। যারা অসুস্থ, দুর্বল, রুগন্‌ তারা জীবন যুদ্ধে পদে পদে পরাভূত হয়।পাশ্চাত্য দেশে খেলাধুলা জাতীয় জীবনের সঙ্গে অঙ্গীভূত। পূর্ব জার্মানি সমাজতন্ত্রী দেশ। সব বয়সের মানুষের মধ্যে সেখানে খেলাধুলা আবশ্যিক, কেননা তারা মনে করে খেলাধুলা লক্ষ লক্ষ মানুষের ক্লান্তিনাশ, আমোদ উপভোগ ও মানসিক পরিতৃপ্তির উৎস।

জার্মান গণতান্ত্রিক দেশ, খেলাধুলাকে জাতির চরিত্র গঠনের অন্যতম প্রধান উপায় হিসাবে তারা গুরুত্ব দিয়েছে। নিয়মিত খেলাধূলা ও শরীর চর্চার মধ্যদিয়ে মানুষের মধ্যে গড়ে ওঠে এক শৃঙ্খলাবোধ। খেলার মাঠে নিয়মিত শৃঙ্খলাবোধের অনুশীলনে দেহ ও মন সুস্থ ও সবল হয়ে ওঠে। শৃঙ্খলাবোধের মাধ্যমে ব্যক্তিগত স্বার্থ মন থেকে বিলুপ্ত হয়ে দলগত ঐক্য প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়। আর এই দলগত শৃঙ্খলাবোধ – ই একটি জাতীর উন্নতির সোপান।খেলাধূলা মানুষের চরিত্র গঠনে সাহায্যে করে। নিয়মিত শৃঙ্খলা ও সংযম মেনে খেলাধূলার মধ্য দিয়ে চারিত্রিক দৃঢ়তা বৃদ্ধি পায়। বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার একঘেয়েমি দূর হয় খেলাধূলার মাধ্যমে। তাছাড়া জীবন একটা খেলাছাড়া আর কিছুই নয়, যেখানে খেলাধূলার মাধ্যমে এক উদার মনভাব বা স্পোর্সম্যান স্প্রিরিট গোড়ে ওঠে যা আমাদের জীবনকে সৌন্দর্যময় করে তোলে। তাই ওয়েলিংটন বলেছেন – “The battle of waterloo was alone on the playing field of Eton . ” আমাদের জীবনে মূল্যবোধের যে অভাব তার মূলে আছে খেলাধূলার অভাব তাই খেলাধূলা চারিত্রিক মূল্যবোধ বৃদ্ধি করে।শিক্ষা লাভের সাথে সাথে ছাত্রছাত্রীরা খেলাধূলার সুযোগ সুবিধা পেলেই পাঠ্য বিষয়ের প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়বে ফলত অপসংস্কৃতির দিকে তাদের প্রবণতা কমবে, বাড়বে দৃঢ় চরিত্র। মানুষের মধ্যে জেগে উঠবে বাধা বিপত্তিকে সরিয়ে জীবনকে উপভোগ করার প্রবণতা। কবির কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে আমরাও বলতে পারবো – “চাই, বল, চাই স্বাথ্য , আনন্দ উজ্বল পরম আয়ু, সাহস বৃস্তিত্ব বক্ষ পটে ” তাই কবির ভাষায় শুর মিলিয়ে আমরা বলি- “খেলা মোদের লড়াই করা, খেলা মোদের বাঁচা মরা, খেলা ছাড়া কিছুই কোথাও নাই। খেলতে খেলতে ফুটেছে ফুল, খেলতে খেলতে ফল যে ফলে— খেলারই ঢেউ জলে স্থলে।” –

ক্রীড়া বিষয়ে মহান বাণী

সভাপতি

নূর-ই-মাদিনা বহুমূখী ক্যাডেট মাদ্রাসা

প্রধান শিক্ষক

নূর-ই-মাদিনা বহুমূখী ক্যাডেট মাদ্রাসা

সহকারী প্রধান শিক্ষক

নূর-ই-মাদিনা বহুমূখী ক্যাডেট মাদ্রাসা

ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ছবি গ্যালারি

ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ভিডিও গ্যালারি